একের পর এক আলোচনা সমালোচনার মুখোমুখি হচ্ছেন লালমনিরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সমাজমকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এর এপিএস মিজানুর রহমান মিজান।
কখনো মাদ্রাসার জমি দখল নিয়ে, গাড়িতে মাদকের চালান ধরা পড়া নিয়ে, আবার তিস্তা নদীর বালু নিয়ে। এমন আরও বিভিন্ন সমালোচিত কাজের সাথে জড়িত থাকার পড় এবার আলোচনায় এলেন আদিতমারীতে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধরের ঘটনা নিয়ে।
সোমবার (১০ জুলাই) বিকালে আদিতমারী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বর্ধিত সভা চলাকালে মারধরের শিকার হয়েছেন ওই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মৃধা। এ বিষয়টি নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এদিকে নজরুল ইসলাম মৃধা সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চেয়ে প্রচার-প্রচারণা চালানোর কারণে তাকে মারধর করা হয়েছে। উক্ত বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন লালমনিরহাট-২ (কালীগঞ্জ-আদিতমারী) আসনের সংসদ সদস্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। এতে অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, সাবেক এমপি অ্যাড. সফুরা বেগম রুমি এবং মন্ত্রীপুত্র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুজ্জামান আহমেদ।
সভা শুরু হবার কিছুক্ষণ পর সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর পেছনের আসনে বসা নজরুল ইসলাম মৃধাকে টেনে হিচড়ে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি মন্ত্রীর এপিএস মিজানুর রহমান মিজান ও তার লোকজন তাকে মারধর করেন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে নজরুলকে বাইরে আনা হয়। ঘটনার একটু পরেই সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা করার সময় নজরুলের উপর আবারও হামলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম বলেন, আমি ছোটবেলা থেকে আওয়ামী লীগ করি, আমি সংসদ নির্বাচনে নৌকা চাইতেই পারি, সেই নৌকা প্রতীক দেওয়ার মালিক আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু এজন্য মন্ত্রীর এপিএস মিজান এবং কিছু হাইব্রিড নেতাকর্মী আমাকে মারধর করবে?
জানা যায়, লালমনিরহাট-২ আসনে মন্ত্রীপুত্র ও এপিএস মিজানকে ঘিরে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সীমান্ত ও চরে মাদকের জমজমাট ব্যবস্যা হয়। এমনকি ট্রেনে করে মাদকের বড় চালান যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে। মূলত এই গ্রুপের কয়েকজন সদস্য এপিএস মিজানের আশে পাশের থেকে মন্ত্রীর সুনামকে নষ্ট করে চলছে।